চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্ত্রীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে স্বামী স্বাধীন হোসেনকে (২০) আটক করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। আটক স্বাধীন একই গ্রামের ডালু ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গত বছরের ৫ নভেম্বর ওই স্কুলছাত্রী (স্ত্রী) তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখানে জহুরুর ইসলামের দোকানে চকলেট কিনতে যায় ওই স্কুলছাত্রী। ওই সময় স্বাধীন তাকে ফুসলিয়ে বন্ধু রাহুলের বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
খবর পেয়ে তার পরিবার তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে এনে থানা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করে। বিষয়টি মিমাংসার পর তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় তখন বিয়ের কাবিননামা তৈরি করা হয়নি।
স্বাধীন ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে এক মাস সংসার করার পর বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন স্বাধীন।
এদিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের হাজীপাড়ার স্কুলছাত্রীর খালা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি ধর্ষণের এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখিত অভিযুক্ত পাঁচজন আসামিরা হলেন- জয়রামপুর মাঠপাড়ার ডালুর ছেলে স্বাধীন(২০), সুবারেকের ছেলে রাহুল(২০), হাসেমের ছেলে শাকিল (২০), জয়রামপুর মাঠ পাড়ার মৃত ফকির মালিথার ছেলে তাহাজ্জত মালিথা(৫৫) ও দামুড়হুদার নাপিতখালি গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে (দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের সরকারি কাজি) কুতব উদ্দিন(৫৫)।
দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বাকি বিল্লা বলেন, ধর্ষণের এজাহারের প্রেক্ষিতে ১নম্বর আসামি স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাদী-বিবাদী পক্ষ আপোষ মিমাংসার জন্য শনিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছে। আপোষ মীমাংসা না হলে মামলা রজু করা হবে।